মদন মিত্র নামটা এই বাংলার বুকে প্রায় সকলেরই জানা। এমন ‘ কালারফুল ‘ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে খুব কমই দেখা যায়। রাজনীতিটা যেমন করতে জানেন নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতেও তার জুড়ি মেলা ভার।
তাঁকে এর আগে মিউজিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে গান গাইতে। নাচের তালে পা মেলাতে। কিন্তু, পর্দার সামনে প্রথমবার। নেতা হিসেবে তো তিনি জনপ্রিয় বটেই, কিন্তু অভিনেতা হিসেবে এবার মঞ্চাভিষেক মদনের। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে দিনকয়েকের মধ্যেই আসতে চলেছেন মদন মিত্র। কবে? কি চরিত্রেইবা অভিনয় করছেন তিনি? আসলে সেটাই চমক।
যত দূর জানা যাচ্ছে হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় একজন চালকল মালিকের ভূমিকায় এ ছবিতে দেখা যাবে মদন মিত্রকে। মদন বলেন, “এটি একটি সামাজিক ছবি। মিস্টি একটা কমেডি ছবি।” ছবিতে অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে। খরাজের স্ত্রীয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে লাবণী সরকারকে। চলতি বছর জামাইষষ্ঠীতে পর্দায় আসতে চলেছে ছবিটি। ছবির শ্যুটিং শেষ করে এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। তবে এখনও ছবির প্রোমোশনের কাজ শুরু হয়নি বলেও জানালেন টলিউডের ‘নতুন’ অভিনেতা।
মদন মিত্র এবারের জামাই ষষ্ঠী যে কাঁপাতে চলেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি নাকি ওই ছবিতে তাঁর নিজের ” ওহ লাভলি ” গানও গেয়েছেন।
তাঁর নতুন কাজের কেমন অভিজ্ঞতা তাঁকে জিগ্যেস করা হলে সে জানায়, “চমকে ভরা হবে পুরো ছবিটা। অভিনয় জগতটা যে রাজনৈতিক জগৎ থেকেই কোনও অংশেই ছোট নয় বরং, বলা যেতে পারে অনেকাংশে বড় সেটা বুঝলাম। এখানে অনেক বেশি সংগ্রাম। ‘আমি তোমার বাড়িতে আসছি, অপেক্ষা কর।’ এই কথাটা বলতে সাড়ে চারঘণ্টা সময় চলে যায়। ওই যে লাইট-অ্যাকশন-ক্যামেরা এক মিনিটের কাজের জন্য অনেকক্ষণ চলে যায়। রাজনীতিতে এটা হলে আমরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতাম। অভিনয় করতে গিয়ে যেটা শিখলাম, ওখানে মূল হল ধৈর্য্য। প্রতি মুহূর্তে ভুল হবে। গোটা টিম বলবে রি-টেক। তখন তুমি মাথা গরম করে ফেললে আর কাজ করতে পারবে না।”