দিনের পর দিন যেন বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে যার কারণে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগ, তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টার গভর্নমেন্টাল পানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রতি সেকেন্ডে বিষের পরিমাণ দিনের-পর-দিন বাতাসে বেড়ে চলেছে। এখনো পর্যন্ত যদি এই পরিমাণ কমানোর না যায় তবে ভবিষ্যৎ সকলের কাছে অন্ধকার। তবে এই মুহূর্তে কোন গবেষণা কেন্দ্র বা বিশেষজ্ঞদের মতের প্রয়োজন নেই কারন, আপনি চাইলেই জানতে পারবেন বায়ুতে কিভাবে বিষাক্ত গ্যাস দিনের পর দিন ধরে বাড়ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টার গভর্নমেন্টাল পানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এর তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে একটি রিপোর্ট এবং যেখানে প্রকাশিত করা হয়েছে কিভাবে তৈরি করা হয়েছে জলবায়ু ঘড়ি।
এই ঘড়িটি বানানোর তত্ত্বাবধানে ছিল ইউনেস্কোতে চলা আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্ট। এই প্রোজেক্টের তদারক সংস্থা ডব্লিউএমও। জলবায়ু ঘড়ির মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন ভবিষ্যতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ঠিক কতটা পরিমাণ বাড়তে পারে। যদি এই তাপমাত্রাকে এখনো পর্যন্ত সঠিক পরিমাণে না আনা যায় তবে আগামী ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যেই গোটা বিশ্ব হয়ে যাবে ধ্বংস।
দিনের পর দিন যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তাতে আর কিছু বছরের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে চরম শিখরে। যদি এইরকম ভাবে বলা যায় যে ঠিক কোন সালে গিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেশ উঁচু পর্যায়ের যাবে তবে সেটা হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে ২০৩২ সালের মার্চ মাসে। এই ঘড়িটি মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন যে পুরনো যুগের থেকে বর্তমান যুগে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কতটা বেড়েছে। পৃথিবীর উষ্ণায়নের জন্য কিভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।
আগামী ৩০ বছরের মধ্যে কি কি ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে আমাদের পড়তে হবে সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানিয়ে একটি খসড়া রিপোর্ট পাস করা হয়েছিল তার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে জলবায়ু ঘড়িটি। এই ঘড়িটি গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টর এগজিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অরুণ চট্টোপাধ্যায় তুলে দেন।