সবজি খেতে অনীহা বাচ্চাদের! জেনে নিন কি করণীয়

30
সবজি খেতে অনীহা বাচ্চাদের! জেনে নিন কি করণীয়

ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো বেশ ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার! প্রত্যেক অভিভাবককেই কমবেশি এই ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। সাধারণ স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি তাদের একেবারেই আকর্ষন থাকে না। উপরন্তু অস্বাস্থ্যকর অথচ চটপটে খাদ্যদ্রব্যের প্রতি তাদের প্রবল আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। এ দৃশ্য প্রায় প্রতিটি পরিবারেই লক্ষ্য করা যায়। অথচ, দৈনন্দিন খাবার থেকে মিনারেলস, ভিটামিনস পেতে গেলে সবজি তো খেতেই হবে। আবার এই সবজি খেতেই বাচ্চাদের যত অনীহা!

তাহলে উপায়? ডায়েটিশিয়ান কি বলছেন, আসুন দেখে নেওয়া যাক। বাচ্চারা যতই না না করুক, দৈনন্দিনের খাবারে স্বল্প পরিমাণে হলেও সবজি পাতে রাখতেই হবে। এর জন্য অবশ্যই বড়দের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনার শিশুটি যদি সবজি খেতে না চায়, সেক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হবে সবজি প্রতি তার আকর্ষণ বৃদ্ধি করা। এর জন্য তার সামনে বসে নিজেই সবজি খেতে খেতে সেই রান্নার প্রশংসা করুন। এতে তারও আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে।

উপায় অবশ্য আরও রয়েছে। বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন ভাবে মজার গল্প বলে সবজির গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাদের বোঝাতে হবে বাড়িতে ভালোভাবে রান্না করলে যে কোনো সবজিই খেতে দারুন লাগে। পাশাপাশি, বাচ্চাদের প্রিয় বার্গার, পিৎজার মতো বিভিন্ন খাবারে প্রচুর পরিমাণে সবজি দিয়ে যদি বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রেও বাচ্চারা চেটেপুটে তা খেয়ে নেবে।

ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার তিনটি ক্ষেত্রেই অল্পবিস্তর সবজি রাখতে হবে। তাহলে বাচ্চাও বুঝবে খাবার খেতে গেলে তাকে কমবেশি সবজি খেতেই হবে। রান্নার কাজে যদি তাকে কিছুটা কাজে লাগানো যায় যেমন আলু, মুলো, গাজরের মতো সবজি গুলি সে ধুয়ে দেয় কিংবা রান্নার সময় সামান্য খুন্তিও নেড়ে দেয় তাহলে রান্নার প্রতি তার আকর্ষণ বাড়বে। পাশাপাশি, নিজের রান্না সে নিজেই চেখে দেখতে চাইবে।