আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ডিম খেতে খুবই ভালোবাসেন।তাদের ডিম ছাড়া ব্রেকফাস্ট দুপুরের খাওয়া এমনকি রাতের খাওয়া ও সম্পূর্ণ হয় না। এছাড়াও ডিম আমাদের শরীরের পক্ষে ও একটি দরকারি খাবার। ডিমের মধ্যে কাছে প্রোটিন যা আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়। তাই অনেক সময় ডাক্তাররা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে যাদের অ্যালার্জি আছে বা হাই প্রেসার আছে তারা ডিমটাকে এড়িয়ে চলেন। তাহলে তাদের শরীরের পুষ্টি কোথা থেকে আসবে? ডিম ছাড়া এমন অনেক খাবার আছে তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডিম থাকে।
ছোলা- ছোলা দেখতে ছোটো হলেও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়াও থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও ভিটামিন কে।
ডাল- ডিমের পরিবর্তে ডাল খাওয়া যেতে পারে। ৯ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যেতে পারে মাত্র হাফ কাপ গালে।
রাজমা- কোলেস্ট্রল এবং সুগারের থেকে শরীরকে দূরে রাখতে গেলে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেতে হলে রাজমা খান। এক কাপ লাল রাজমায় আছে ১২ গ্রাম প্রোটিন ও হাফ কাপ কালো রাজমায় থাকে ৮ গ্রাম প্রোটিন।
সয়াবিন- রাজমার মতো সয়াবিনো হলো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। এক কাপ সয়াবিনের মধ্যে ২৮ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে আছে সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, কপার ইত্যাদি।
ছানা– ছানাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ক্যালোরি কম হওয়া ওজন বাড়ার বাড়ার সম্ভাবনা থাকেনা এই ছানাতে। ১০০ গ্রাম ছানায় থাকে ২৩ গ্রাম প্রোটিন।
আমন্ড বাদাম– এই বাদামে থাকে ভিটামিন ই, কপার ও ম্যাগনেসিয়াম। ১/৪ কাপ আমন্ড বাদামের মধ্যে থাকে ৭ গ্রাম প্রোটিন।
কুমড়োর বীজ- ১/৪ কাপ কুমড়োর বীজের মধ্যে রয়েছে ১০ গ্রাম প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়াও আয়রনও থাকে এই কুমড়োর বীজের মধ্যে। তাই একে সুপারফুডও বলা হয়।
পিনাট বাটার- পিনাট বাটারেও থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। টোস্টের সঙ্গে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে।