আসন্ন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলার রাজনীতি জুড়ে দলবদলের পালা চলছে। তৃণমূল এবং বিজেপি শিবিরের নেতাকর্মীরা রাজনীতির এই পর্যায়ে নিজের নিজের সুবিধা-অসুবিধা অনুসারে দলবদল করছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য বিজেপির পাল্লাই বেশি ভারী হচ্ছে। তৃণমূল থেকে বহু নেতাকর্মী, বিধায়ক, সাংসদ বিগত কয়েকদিনে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। বিজেপি থেকেও অবশ্য তৃণমূল দলে যোগদান করছেন অনেকেই।
সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করলেন, ভোটের আগেই অন্তত ৬-৭ জন বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করবেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে যারা বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, তারাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন। এখন তারাও তৃণমূল দলে ফিরে আসার জন্য অনুনয় জানাচ্ছেন! এমনটাই দাবি করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মঙ্গলবার ১৫৮তম বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে হাবরায় শোভাযাত্রার পুরভাগের দায়িত্বে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। দলবদলকারীদের প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, যারা এখন বিরোধী দলে গিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলছেন, তাদের প্রত্যেকের নাম সারদার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এতে প্রত্যেকের কাছেই আয়কর অথবা ইডির সমন পৌঁছেছে। সেই দুর্নীতির অভিযোগের হাত থেকে বাঁচতেই তারা এখন বিজেপি দলে নাম লিখিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, উনি আদেও তিন থেকে চার মাস বিজেপিতে টিকতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, উনি নিজের “আখের গুছিয়ে” আবারও তৃণমূল দলে ফিরে আসবেন! এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, দলবদলকারীরা আগামী মে মাসেই আবারও দলে ফিরতে চাইবেন! তখন তাদের জন্য আর দলের দরজা খোলা থাকবে না।