কর্মসংস্থানের দিক থেকে বড় বড় কোম্পানিগুলোকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে আমুল

13
কর্মসংস্থানের দিক থেকে বড় বড় কোম্পানিগুলোকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে আমুল

গল্পটা ৭৬ বছর আগেকার, গল্পটা হচ্ছে আমুল কোম্পানি। আজকে দাঁড়িয়ে প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি মানুষকে নিজেদের পণ্য দিয়ে সেবা করছে এই আমুল কোম্পানি। এই কোম্পানিটা বহু মানুষকে চাকরি দিয়েছে। ৭৬ বছর আগে গুজরাটে শুরু হয়েছিল আনন্দ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড যেটি আজকে আমুল নামে পরিচিত। এই ব্যবসাটা শুরু করেছিল ভার্গিস কুরিয়েন নামের বছর বয়সী একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যিনি চাকরি ছেড়ে ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন।

কোম্পানিটা যখন প্রথম দিকে শুরু করা হয় সেই সময় প্রত্যেকদিন ২৪৭ লিটার দুধ নেওয়া হত, যেটা বর্তমানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৫০ কোটি লিটার দুধ। এই কোম্পানিটি বর্তমান বড় বড় কোম্পানিগুলো যেমন রিলায়েন্স, আদানি, আম্বানি, টাটা গ্রুপকেও পিছনে ফেলে দেবে। যেখানে টাটা গ্রুপে ৪ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে আমুলে থাকছে ১৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান।

আমুল উৎপাদন থেকে শুরু করে প্ল্যান্ট কর্মী পরিবহন, বিপণন, বিতরণ, বিক্রয় সমস্ত কিছুরই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ কৃষক। এই কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৮৭ টি প্ল্যান্ট, যেটি প্রত্যেকদিন দুগ্ধজাত পন্য তৈরি করতে সাহায্য করছে।

এটা শুরু হয় গুজরাটের একটি গ্রাম থেকে দুগ্ধ ছিল গ্রামের কৃষক রাখার পশুপালক মহিলারাও। এই সংস্থাটির এমডি আরএস সোধি একটি প্রোগ্রামে জানান, “তার লক্ষ্য একটাই যে গ্রামের পশু পালন এবং কৃষককে অর্থনীতির সঙ্গে যোগ সূত্র করাতে হবে। ”

এককথায় বলা যায় এই কোম্পানির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকটা বেশি সাফল্য লাভ করেছে। প্রতিনিয়তই আমুল তার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বজায় রাখছে।