আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার মধ্যেই বড় আপডেট দিল। শনিবার পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের শক্তি কতটা বাড়তে পারে, গতিপথ কোন দিকে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে।
শুক্রবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে রবিবার। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত ইতিইমধ্যেই ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ক্রমশ সেই নিম্নচাপ গভীর থেকে গভীরতর হবে। তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে স্থলভাগের দিকে সর্বশক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে ‘অশনি’। শ্রীলঙ্কার দেওয়া এই নাম। বাংলায় তার প্রভাবে সোমবার থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উপকূলের জেলা এবং ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি বলেছেন, ৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।
এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে ‘অশনি’। নিম্নচাপের জেরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। উত্তাল থাকবে সমুদ্র।