আমাদের কিছু কু- অভ্যাস আমাদের জীবনের চরম বিপদ ডেকে নিয়ে আসে মাঝে মাঝেই তাও আমরা এই ভুল গুলো বার বার করে থাকি। আর সেরকমই একটি ভুলের মাসুল দিতে হলো এক যুবককে।
মাইক বলে একটি যুবক তার চোখে কনট্যাক্ট লেন্স পড়েন। তার সারাদিন এই লেন্স পড়েই কেটে যায়। এমনকি মাঝে মাঝে রাতে এই লেন্স পরে ঘুমিয়েও পড়েন তিনি। আর সেখানেই সমস্যা। এই ঘুমিয়ে পড়ার পর তার চোখ লাল হয়ে যায়, চুলকায় কিন্তু সে গুরুত্ব দেয়নি। এরকম মাসের পর মাস চলতেই থাকে। যার ফল স্বরূপ একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে মাসুল দিতে হল ওই একুশ বছরের যুবকটিকে।
আর পাঁচটা মানুষের মতোই মাইকও ক্রুমহোলৎজেরও কনট্যাক্ট লেন্স পরে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ছিল। সেরকমই গত মাসেই এক দিন মাইক অফিস থেকে ফিরে খানিকটা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। প্রতিবারের মতোই সেদিনও তাঁর লেন্স খোলার কথা তার মনে ছিল না। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর ঘুম থেকে উঠে প্রথমে তাঁর চোখ চুলকাতে থাকে এবং ধীরে ধীরে চোখ লাল হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।
ডাক্তার দেখালে ডাক্তাররাও তার সমস্যাটা বুঝতে পারেনি প্রথম বারেই। এর পর একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় তার পর চিকিৎসকেরা জানান যে মাইকের চোখে অ্যাকান্থামোইবা কেরাটাইটিস নামে এক পরজীবী বা প্যারাসাইটের সংক্রমণ হয়েছে। আর সেই পরজীবী মাইকের ডান চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। এরপর তাঁর চোখে অপারেশনও করা হয়েছে। যা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলেও জানিয়েছেন ওই যুবক। পরজীবীটি যাতে আর চোখে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্যই ওই অপারেশন করা হয়। তবে অপারেশন করলেও ডান চোখের দৃষ্টি আর ফিরে পাননি মাইক।
আর তার এই নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার কথা সে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায়। সে বলে সে এখন বাড়ি থেকে বেরোতে অবধি পারে না। নিজের প্রয়োজন বা ইচ্ছামতো কোনও কাজ করতেও পারেন না। আর তাই কেউ যেন কনট্যাক্ট লেন্স পরে ঘুমিয়ে না পড়েন সেজন্য সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মাইক GoFundMe নামে একটি পেজও তৈরি করেছেন।
তাই যারা লেন্স ব্যাবহারকারী রয়েছেন তারা অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রেখে চলবেন। নয়তো আপনার চোখের দৃষ্টি আপনার অবহেলাতেই চলে যেতে পারে।