এক মর্মান্তিক এবং করুন ঘটনার মুখোমুখি আমরা সকলে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রতিমুহূর্তের খবর যেভাবে আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা দরকার। ঘটনাটি উড়িষ্যার, সেখানকার কোরাপুটের বাসিন্দা সামুলুর জীবন কাহিনী এটি। স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে পথ হেঁটে চলেছেন যা এক অত্যন্ত বেদনাদায়ক চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই সামুলুর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন, এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে তাঁকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের একটি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা সাফ জানিয়ে দেন চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রী কোনরকম ভাবে কোন সাড়া দিচ্ছিলেন না তাই তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই উচিত। তাই চিকিৎসকদের কথামতো সামুলু তাঁর স্ত্রীকে অটোতে চাপিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ।
হাসপাতাল থেকে বাড়ির দূরত্ব ১০০ কিমি, রীতিমতো অটো ভাড়া করতে হয়েছিল সামুলুকে। কিন্তু মাত্র কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই অটোতে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর যে কারণে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেন। অটোচালক জানান তিনি আর যেতে পারবেন না, বেগতিক বুঝে তাই দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গ্রামে পৌঁছান। এক কথায় অমানবিকতার ছবি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যখন গ্রামে পৌঁছতে আর মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ বাকি সেই সময়ে ঘটে মিরাকেল,যখন পুলিশের কাছে খবর পৌঁছায় যে এক ব্যক্তি কাঁধে মৃতদেহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন সেই খবর পেতেই তৎক্ষণাৎ তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। তবে সামুলুর এই চিত্র নতুন নয়, এর আগেও দানা মাঝির গল্প আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। দিনে দিনে আমরা যে কোন সমাজে বাস করছি তা নিয়েই এক সংশয় দানা বাঁধছে যেখানে মানুষ মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াবে না।