আসন্ন একুশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক শিবির গুলিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিশেষত বাংলা দখলের লড়াইয়ে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। রাজনৈতিক শিবির গুলির মধ্যে বাংলাকে ঘিরে কেন্দ্র এবং রাজ্য শাসকদলের মধ্যে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। কোন পক্ষই একে অপরকে একচুল জায়গাও ছেড়ে দিতে রাজি নয়। উভয়পক্ষের তরফ থেকেই এখন জোর ভোট প্রচার চলছে। সভা-সমিতি, জমায়েতের কোনো খামতি রাখা হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বারবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও জেলা সফর শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি বাঁকুড়া সফর সেরে গিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার জেলা সফরের ভোট প্রচারে স্ট্র্যাটেজি সেই বাঁকুড়া থেকে শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফরকে কেন্দ্র করে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের সুনুকপাহাড়ির হাটতলায় আয়োজিত জনসভায় রেকর্ড ভিড় হয়েছে। পুলিশের দাবি এই জনসভাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাটা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে বিরোধী বিজেপি শিবিরের দাবি, বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল এই জনসভায়। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির তরফ থেকে।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই বিশাল জনসভার আয়োজন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জেলার সংক্রমণের হার যদি মাত্রা ছাড়ায়, তাহলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রী নেবেন তো? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদের দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর জনসভায় নাকি তেমন ভিড় হয়নি। সভাস্থল ভরাতেই পারেনি তৃণমূল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার বক্তব্য, সভাস্থল অনেক বড় ছিল, সকলেই দূরত্ব বিধি মেনেছেন। বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষ করে তার জবাব, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটবে। মানুষ তার প্রমাণ দিয়েছেন।