কখনো ভেবে দেখেছেন আপনি কাউকে চড় মারবেন আর সঙ্গে সঙ্গে আপনার সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। নানা বুজরুকি নয়, যদি চোর এবং বিদ্যুৎ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
জানা গেছে যে সুনীল কুমার নামে একজন বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী পেটে ব্যথা হওয়ার ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ওষুধ আনতে যাওয়ার সময় মুখে মাক্স না থাকায় তাকে রাস্তায় আটক করে কুমারগঞ্জ থানার মহিলা ইন্সপেক্টর শর্মিলা শর্মা। বিদ্যুৎ বিভাগের ওই কর্মীকে মাক্স না পরার জন্য জরিমানা করেন তিনি। জরিমানা এড়ানোর জন্য সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের ওই কর্মী ঊর্ধ্বতন আধিকারিক কে ফোন করেন। বিদ্যুৎ কর্মীর অভিযোগ অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে চড় মারেন ওই মহিলা পুলিশ অফিসার। শুধুমাত্র তাই নয় তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখেন ওই মহিলা অফিসার।
এই খবর পৌছতেই রীতিমতো রেগে ওঠেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তারা সকলে মিলে স্থানীয় সাব স্টেশন থেকে দলবেঁধে থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এসে ধরনায় বসে পড়েন তারা। একইসঙ্গে ৩৫ টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। বিদ্যুৎ দপ্তর এর কর্মীকে চড় মারার ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকা। সন্ধ্যেবেলায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তারা অবস্থা সামাল দেবার জন্য মহিলা ইন্সপেক্টর এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে। এরপর তারা কথা বলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে। আসাস দেবার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে দেওয়া হয় সেই এলাকাতে। শুধুমাত্র একটি চড় মারার জন্য এলাকাবাসীকে প্রায় ৬ ঘণ্টা কাটাতে হল অন্ধকারে।